ডেস্ক নিউজ: ইডেনে আইপিএলের সর্বকালীন সর্বনিম্ন স্কোর করার পরে বিশ্রামের কোনও সুযোগ নেই। আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই ঘরের মাঠে বিরাট কোহালির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর-কে নামতে হচ্ছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে। এক দিকে থাকছে কোহালি বনাম ডেভিড ওয়ার্নার দ্বৈরথ। অন্য দিকে ক্রিস গেল বনাম ভুবনেশ্বর কুমার।
রবিবারের ইডেনে ৪৯ রানে অলআউট হওয়ার ধাক্কা কতটা সামলে উঠতে পেরেছে কোহালিদের মহাতারকা ব্যাটিং লাইন-আপ, সেটাই দেখার অপেক্ষায় থাকবে ক্রিকেট মহল। কোহালি নিজে ইডেনে হারের পর বিমর্ষ হয়ে ছিলেন। ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসে বলে যান, ‘‘এই ব্যাটিং বিপর্যয়ের কোনও ব্যাখ্যাই হয় না। এই পারফরম্যান্স মেনে নেওয়া যায় না।’’
অবিশ্বাস্য স্কোরলাইন সারা জীবনের মতো সঙ্গী হয়ে গেল আরসিবি-র মহাতারকা ব্যাটিং লাইন-আপের। যেখানে এক জন ব্যাটসম্যানও দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছতে পারেননি। ৭, ০, ১, ৮, ৯, ৮, ২, ০, ২, ৫, ০। এই হল আরসিবি ব্যাটিংয়ের বিপর্যয়ের ছবি। ক্রিস গেল, বিরাট কোহালি, এ বি ডিভিলিয়ার্সের মতো তিন সেরা ব্যাটসম্যান থাকা সত্ত্বেও ৪৯ রানে অলআউটের লজ্জা ধেয়ে এল তাঁদের দিকে। কে বলবে, একই টিম আইপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ স্কোরেরও অধিকারী। শোকস্তব্ধ কোহালি ম্যাচের পর বলে গেলেন, ‘‘এই মুহূর্তে আমার কিছুই বলতে ইচ্ছে করছে না।’’
ঘটনা হচ্ছে, ভেঙে পড়া অবস্থা থেকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নিজের মনোবল ফিরিয়ে কোহালিকে চাঙ্গা হয়ে নামতে হবে পরের যুদ্ধের জন্য। সানরাইজার্স আগের বার চ্যাম্পিয়ন। গতবারের মতো ফর্মে না থাকলেও ডেভিড ওয়ার্নারের দলের অবস্থা কোহালিদের চেয়ে ভাল। সাত ম্যাচ থেকে তাদের তিনটি জয় রয়েছে। পেসার ভুবনেশ্বর কুমার (১৬ উইকেট) এবং লেগস্পিনার রশিদ খান (১০ উইকেট) ভাল বল করছেন। আরসিবি ব্যাটিংকে দেখাতে হবে, ইডেন রোজ রোজ ঘটে না। আরসিবি, আরসিবি-ই।
কোহালি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, তাঁদের ব্যাটিং ভীষণ ভাবেই তিন তারকা নির্ভর। তিনি, ক্রিস গেল বা এ বি ডিভিলিয়ার্স রান না পেলেই কম্পিত হয়ে পড়ছে মিডল অর্ডার। গেল আগের সেই বিধ্বংসী ফর্মে নেই। ভুবনেশ্বর কুমারের সুইংয়ের সামনে তাঁকে বড় পরীক্ষার মধ্যে পড়তে হতে পারে আজ।
আনন্দবাজার
অগ্রদৃষ্টি.কম // এমএসআই